দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন ঢাকাই ছবির সফল চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। পাত্র কামরুজ্জামান সরকার রাকিব। তিনি গাজীপুরের ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদ। রোববার দিনগত রাত ১২টা ৫ মিনিটে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিয়ের ছবি প্রকাশ করে মাহি লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। আজ ১৩/০৯/২১ ইং, ১২টা ৫ মিনিটে আমাদের বিবাহ সম্পন্ন হলো। এর আগের সব কথা আসলেই গুজব ছিলো। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন এটাই একমাত্র চাওয়া।’
মাহি ও রাকিব দুজনেরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে। প্রথম স্ত্রীর সংসারে দুই সন্তানের জনক রাকিব। এরমধ্যে একটি ছেলে একটি মেয়ে। ছেলেটির নাম সোয়াইব ও মেয়েটির নাম সাইয়ারা। রাকিবের সঙ্গে তার প্রথম স্ত্রীর ডিভোর্স হয়েছে কিনা সেটি এখনও জানা যায়নি।স্বামীর প্রথম পক্ষের সন্তানদের নিয়ে মাহি গণমাধ্যমে বলেন, ‘বিয়ে করেই মা হয়েছি। কিন্তু এখনো আমার সেই সন্তানদের সঙ্গে দেখা হয়নি।’
রাকিবের সঙ্গে মাহির বন্ধুত্ব বেশ পুরনো। দুজনের মতের মিল এবং বোঝাপড়াও ভালো। আর তাই ৯ বছরের বন্ধুত্বকে বিয়েতে রূপ দিয়েছেন তারা। এই বিয়ে নিয়ে আশাবাদী মাহি।
এ প্রসঙ্গে তিনি গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘বিচ্ছেদ হওয়ার পরে একসময় বিয়ে তো করতেই হতো। যেহেতু তাকে আমার সব দিক থেকে ভালো লেগেছে, সেই জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সে–ও মনে করেছে, আমার সঙ্গে বিয়ে হলে সুখী হবে। সেই জায়গা থেকেই আমাদের বিয়ে।’
এদিকে মাহির বিয়ের পর আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে ছোট একটি মেয়ের সঙ্গে তার একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। অনেকে ধরেই নিয়েছেন, মেয়েটি মাহির দ্বিতীয় স্বামী রাকিবের সন্তান।
মাহি বলেন, ‘ভাইরাল হওয়া মেয়েটি আমার মেয়ে নয়। যাকে আমার মেয়ে বলে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হচ্ছে, সেই মেয়েটি আমার এক বান্ধবীর মেয়ে। সম্প্রতি আর্জেন্টিনার খেলা দেখার জন্য বান্ধবীর বাসায় গিয়েছিলাম। তখন ছবিটি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলাম।’
প্রসঙ্গত, ১৩ সেপ্টেম্বর (সোমবার) ছিলো রাকিব সরকারের জন্মদিন। দিনটিকে আরও স্মরণীয় করে রাখতেই সে রাতে বিয়ের এই আয়োজন। রাকিবের জন্মদিনে বিয়ে করে নিজেকে স্ত্রী হিসেবে উপহার দিয়েছেন মাহি। বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পরপরই কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করেছেন নবদম্পতি।
রাকিবের জন্মদিন উদযাপনের সেই মুহূর্তের কিছু ছবি শেয়ার করেছেন মাহি। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘তোমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।’ সঙ্গে একটি লাভ ইমোজি যোগ করে দিয়েছেন। পরের লাইনে রাকিব সরকারকে মেনশন করে তিনি লিখেছেন, ‘সারাজীবন আমার এভাবেই যত্ন নিবা কিন্তু। আমি পারতাম না।’ সঙ্গে হাসির ইমোজি।